বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৪০ ডিগ্রি, ঘূর্ণিঝড়ের আভাস 

  •    
  • ২ মে, ২০২১ ২৩:৫৩

মে মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুইটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিনদিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি অথবা তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। দেশের অন্যত্র পাঁচ থেকে সাতদিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বয়ে যেতে পারে একাধিক তাপপ্রবাহ।

উত্তাপে পুড়ছে প্রকৃতি। আবহাওয়ার অধিদপ্তরের মাসভিত্তিক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মে মাসেও পুরোপুরি নিস্তার মিলবে না গরম থেকে। ঝড়-বৃষ্টির পাশাপাশি কখনও কখনও তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এপ্রিল মাসে এবার সারা দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ৭৯ ভাগ বৃষ্টিপাত কম হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে মে মাসেও। এপ্রিলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে, তা দেখা যেতে পারে চলতি মাসেও।

অন্য বছরের তুলনায় চলতি ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত যে পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল, এবার তার চেয়ে অনেক কম হয়েছে। এপ্রিলে স্বাভাবিক বৃষ্টি ১২৭ মিলিমিটার হওয়ার পূর্বাভাস থাকলেও হয়েছে ২৬ মিলিমিটার।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, পশ্চিমা ও পুবালি লঘুচাপের প্রভাব কম থাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হচ্ছে এবার। এপ্রিলে পশ্চিমা লঘুচাপ, পুবালি বায়ুর প্রবাহ এবং জলীয় বাষ্পের যোগান বেড়ে যাওয়ায় ৪, ৮, ১৮, ২১ ও ৩০ তারিখে সিলেট, চট্টগ্রাম, ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুরসহ কয়েকটি অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৩ কিলোমিটার।

কী আছে মে মাসের পূর্বাভাসে

মে মাসের দীর্ঘ মেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিলের মতো এ মাসেও দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুইটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

এ মাসে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিনদিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি অথবা তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। দেশের অন্যত্র পাঁচ থেকে সাতদিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা বৃষ্টিপাত হবে।

মে মাসে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে বয়ে যেতে পারে একটি তীব্র তাপ প্রবাহ, পারদ চরতে পারে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। এ ছাড়া, সারা দেশে এক থেকে দুটি ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মৃদু এবং এক থেকে দুটি ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এপ্রিল ও মে মাসকে আমরা সর্বোচ্চ উষ্ণ মাস হিসেবে বিবেচনা করি। এই মাস দুটিতে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ থাকে। এপ্রিলে একটু বেশি থাকে তাপমাত্রা। এবার এপ্রিলে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতও হয়েছে।

মে মাসেও কী এপ্রিলের ধারা অব্যাহত থাকবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে এপ্রিলে এমনিতে গরম বেশি থাকে। তাই বৃষ্টি কম হয়। তবে মে মাসে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমরা মূলত গত বছরের সঙ্গে তুলনা করি। সেই তুলনায় এবার একটু কম বৃষ্টিপাত হতে পারে।’

শাহিনুল জানান, মে মাসে সাগরে এক থেকে দুইটি নিম্নচাপ হতে পারে। একটি ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এপ্রিলের মতো মে মাসেও একটি তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা দিতে পারে, যা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে। এ ছাড়া, এক থেকে দুইটি মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে, যার তাপমাত্রা হতে পারে ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দুয়েকটি মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে, তাপমাত্রা হতে পারে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলিসিয়াস।

নদ-নদীর অবস্থা

মে মাসে দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু কিছু স্থানে ভারী বৃষ্টির প্রেক্ষিতে স্বল্পমেয়াদী আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

কৃষি আবহাওয়া

এ মাসে দেশের দৈনিক গড় বাষ্পীভবন ৪.২৫-৫.২৫ মি. মি. এবং গড় উজ্জ্বল সূর্য কিরণকাল ৬.৫–৭.৫ ঘণ্টা থাকতে পারে।

এ বছর বৃষ্টিপাত কম

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এবার গত তিন মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে ৯১ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।

শাহিনুল ইসলাম বলেন, পশ্চিমা ও পুবালি লঘুচাপের প্রভাব কম থাকার কারণে জলবায়ুর এমন পরিবর্তন হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় এবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেক কম।

আবহাওয়া অধিদপ্তের তথ্যানুযায়ী, এপ্রিলে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত ঢাকা বিভাগে ১৫০ মিলিমিটার হওয়ার কথা থাকলেও হয়েছে ৩২.৭ মিলিমিটার। এ ছাড়া, ময়মনসিংহে ১৫২-এর স্থলে ৪৫.৫ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ১৪৩-এর স্থলে ১৩.৭ মিলিমিটার, রাজশাহীতে ৮২-এর স্থলে ৪৬.২ মিলিমিটার, রংপুর বিভাগে ৯৪-এর স্থলে ৪৪.৭ মিলিমিটার, খুলনাতে ৭৬-এর স্থলে ৩.৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

বরিশালে বৃষ্টিপাত নেই বললেই চলে। ১৩২ মিলিমিটার হওয়ার কথা থাকলেও হয়েছে মাত্র ০.৫ মিলিমিটার। একই দশা সিলেটেও। ২৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের স্থলে বৃষ্টি হয়েছে ৮৬ মিলিমিটার।

বৃষ্টির এমন হাহাকার দশা দেখা গেছে মার্চ মাসেও। আর ফেব্রুয়ারিতে ছয় বিভাগই ছিল বৃষ্টিশূন্য।

এ বিভাগের আরো খবর